শাফায়াৎ//সুপারেশকারী

অনেকে বলে, আমরা অলী-
আউলিয়া ও বুজুর্গ লোকদের নিকট
বিপদাপদ থেকে উদ্ধার
কামনা করি। তবে তাদের নিকট
আমরা যা চাই তা হল কিয়ামতের
দিন যেন তারা আল্লাহর
দরবারে আমাদের জন্য শাফায়াত
করে। কারণ তারা সৎ লোক। আল্লাহর
নিকট তাদের বিশাল
মর্যাদা রয়েছে। তাই এই মর্যাদার
কারণে আমরা চাই তারা আমাদের
সুপারিশ করে পরকালে কঠিন বিপদ
থেকে আল্লাহ আমাদেরকে উদ্ধার
করবেন। এটা কি ঠিক?
_______________________________
উত্তর: আরবের মুশরিকরা তো তাদের
শিরকের স্বপক্ষে হুবহু এ কথাই বলত।
তার পরে ও মহান আল্লাহ তাদেরকে-
কাফের মুশরিক বলে অবিহিত
করেছেন। যেমন, আল্লাহ
তায়ালা বলেন,“আর তারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে এমন
জিনিসের উপাসনা করে যা তাদের
লাভ-ক্ষতি কিছুই
করতে পারে না আর বলে,
তারা আল্লাহর নিকট আমাদের জন্য
সুপারিশ করবে।” (সূরা ইউনুস: ১৮)
সৎ ব্যক্তিগণ কিয়ামতের দিন
পাপী বান্দা সুপারিশ করবে। কিন্তু
সুপারিশের মালিক একমাত্র আল্লাহ
তায়ালা।
যেমন আল্লাহ তায়ালা বলেন:“বলুন, শাফায়াতের সম্পূর্ণ কর্তৃত্ব
কেবল আল্লাহর।” (সূরা যুমারঃ ৪৪)
সুতরাং যেহেতু শাফায়াতের
মালিক আল্লাহ সেহেতু
তা চাইতে হবে একমাত্র আল্লাহর
নিকট। মৃতদের নিকট
চাওয়া যাবে না। কারণ, আল্লাহ
তায়ালা কোন, নবী-
অলী ফেরেশতা বা অন্য
কারো নিকট সুপারিশ
প্রার্থনা করার সুযোগ দেন নি।
যেহেতু তার মালিক একমাত্র
আল্লাহ তায়ালা তাই সুপারিশ
কেবল তার কাছেই চাইতে হবে।
যেন তিনি সুপারিশ
কারীকে সুপারিশ করার
অনুমতি দেন।
কিন্তু দুনিয়ার ব্যাপার সম্পূর্ণ
ভিন্ন। এখানে অনুমতি ছাড়াই
সুপারিশ কারীরা সুপারিশ
করতে আসে এবং অনেক সময়
অনিচ্ছা স্বত্বেও সুপারিশ গ্রহণ
করতে বাধ্য হতে হয়। কারণ সুপারিশ
কারীরা হয়ত উচ্চ পর্যায়ের লোক
বা সরকারী কর্মকর্তা বা মন্ত্রী।
মানুষ বিভিন্ন প্রয়োজনে তাদের
মুখাপেক্ষী হয়।
কিন্তু আল্লাহর দরবারে কেউ
সুপারিশ নিয়ে হাজির
হতে পারবে না যতক্ষণ
না তিনি সুপারিশ
কারীকে অনুমতি দিবেন বা যার
ব্যাপারে সুপারিশ করা হবে তার
ব্যাপারে সম্মতি প্রকাশ করবেন।

আল্লাহ তায়ালা বলেন:“আর আসমান সমূহে এমন অনেক
ফেরেশতা রয়েছে যাদের শাফাআত
কোন কাজে লাগবে না যতক্ষণ
না আল্লাহ
তায়ালা যাকে ইচ্ছা এবং যার
ব্যাপারে সম্মত তার
ব্যাপারে সুপারিশের
অনুমতি দিবেন। (সূরা নাজম: ২৬)
২য় প্রশ্ন: তারা বলে আল্লাহর নিকট
অলী-আউলিয়াদের বিশেষ
মর্যাদা রয়েছে। তাই আমরা তাদের
এ মর্যাদার ওসীলায় আল্লাহর নিকট
শাফায়াত প্রত্যাশা করি।
এতে সমস্যা কোথায়?
————————————————————–
উত্তর: প্রতিটি ইমানদার আল্লাহর
অলী বা বন্ধু। কিন্তু কোন
ব্যক্তি বিশেষকে নির্দিষ্ট
করে আল্লাহর অলী বলতে গেলে তার
পক্ষে অবশ্যই কুরআন ও হাদীসের
দলীল প্রয়োজন। কুরআন ও হাদীসের
আলোকে কোন ব্যক্তি আল্লাহর
অলী প্রমাণিত হলে তার
ব্যাপারে আমাদের
বাড়াবড়ি করা বৈধ হবে না। কারণ
বাড়াবাড়ি করতে গেলে তাতে র্শিক
সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আল্লাহ
তায়ালা আমাদেরকে নির্দেশ
দিয়েছেন তাঁকে সরাসরি আহবান
করতে। তাঁকে পাওয়ার জন্য কোন
মাধ্যম ধরার প্রয়োজন নাই।
আরবের মুশরিকদের পক্ষ থেকে এ
যুক্তি পেশ করা হয়েছিল যে,
তারা মূর্তিগুলোকে আল্লাহ ও
তাদের মাঝে কেবল মাধ্যম
মনে করে এবং যেহেতু
তারা আল্লাহর
দরবারে মর্যাদা সম্পন্ন
এবং নৈকট্য প্রাপ্ত তাই তাদের
মাধ্যমে তারাও আল্লাহর নৈকট্য
লাভ করতে চায়। কিন্তু
স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা তাদের
এজাতীয় বিশ্বাস ও কার্যক্রমের
প্রতিবাদ করেছেন।

মূল: ড. শাইখ সালেহ বিন ফাউযান
আল ফাউযান (হাফিযাহুল্লাহ)
অনুবাদক: শাইখ আব্দুল্লাহিল
হাদী বিন আব্দুল জলী

প্রশ্নোত্তর

>প্রশ্ন : জানাযার ছালাতের বিধান
কত হিজরীতে জারি হয়? খাদীজা (রাঃ)-
এর জানাযা না হওয়ার কারণ কি?
উত্তর : জানাযার বিধান কত
হিজরীতে জারি হয়েছে তার স্পষ্ট কোন
দলীল পাওয়া যায় না। তবে তা মদীনায়
ছালাতের বিধান জারি হওয়ার পর চালু হয়।
ইবনু হাজার হাইতামী বলেন,
খাদীজা (রাঃ)-এর মৃত্যুর সময় জানাযার
ছালাতের বিধান জারি ছিল না।
কেননা এর বিধান মদীনায় হিজরতের পর
নাযিল হয় (তুহফাতুল মুহতাজ
ফী শরহে মিনহাজ ৩/১৩১) । আর হিজরতের
পূর্বেই খাদীজা (রাঃ)-এর মৃত্যু হওয়ায়
তার জানাযা করা হয়নি। আয়েশা (রাঃ)
বলেন, ছালাত ফরয হওয়ার পূর্বেই
খাদীজা (রাঃ) মৃত্যুবরণ করেন
(ত্বাবারাণী কাবীর হা/১০৯৯) ।

>প্রশ্ন : স্যালুট প্রদান পদ্ধতির
ক্ষেত্রে শরী‘আতের বিধান কি?

উত্তর : এটি একটি অনৈসলামিক কালচার।
যা পরিত্যাজ্য। রাসূল (ছাঃ) বলেন,
তোমরা ইহূদী-নাছারাদের
অনুকরণে সালাম দিয়ো না।
কেননা তারা হস্ততালু, মাথা ও ইশারার
মাধ্যমে সালাম প্রদান করে থাকে
(দায়লামী, সিলসিলা ছহীহাহ হা/১৭৮৩) ।
তিনি আরো বলেন, তোমরা সালাম
প্রদানের ক্ষেত্রে ইহূদী-খৃষ্টানদের
অনুকরণ করো না। কেননা ইহূদীরা আঙ্গুল
দিয়ে ইশারার
মাধ্যমে এবং নাছারারা হস্ততালু
দিয়ে ইশারার মাধ্যমে সালাম প্রদান
করে (তিরমিযী হা/২৬৯৫, মিশকাত
হা/৪৬৪৯, সনদ হাসান) ।
পক্ষান্তরে অভিবাদনের
ইসলামী পদ্ধতি হ’ল
সাক্ষাতে পরস্পরকে সালাম করা। এর জন্য
কোনরূপ আনুষ্ঠানিকতা হ’লে সেটা বিদ‘আত
হবে। পুলিশ ও সেনাবাহিনীতে সালাম
প্রদান ও সালাম গ্রহণের
যে আনুষ্ঠানিকতা রয়েছে,
সেটা অমুসলিমদের থেকে আগত।
ইসলামে এর কোন অনুমোদন নেই।
বাধ্যবাধকতার ব্যাপারটি ব্যক্তির নিজস্ব
বিবেচ্য বিষয়। আল্লাহ বলেন,
তোমরা সাধ্যমত আল্লাহকে ভয় কর
(তাগাবুন ৬৪/১৬) ।

>প্রশ্ন : এক ওয়াক্ত ছালাত
ক্বাযা করলে ৮০
হুক্ববা জাহান্নামে জ্বলতে হবে- কথাটির
সত্যতা জানিয়ে বাধিত করবেন।

উত্তর : বর্ণিত উক্তিটির প্রমাণে কোন
হাদীছ নেই। এটি প্রচলিত কথা মাত্র।
ٌﺐُﻘُﺣঅর্থ যুগ বা দীর্ঘ সময়কাল। আল্লা
বলেন,
‘অবিশ্বাসীরা জাহান্নামে থাকবে যুগ যুগ
ধরে’ (নাবা ৭৮/২৩) । অত্র আয়াতে বর্ণিত
ﺎًﺑﺍَﻖْﺣَﺃ অর্থ ٌﺭْﻮُﻫُﺩ ٌﺔَﻌَﺑﺎَﺘَﺘُﻣ ‘পরপর
যুগসমূহ’। হাসান বছরী বলেন, এর অর্থ ﺩﻮﻠﺧ
বা ‘চিরকাল’। ‘যার কোন সীমা নির্দিষ্ট
নেই’। এক হুক্ববার সময়কাল দুনিয়ার
হিসাবে ২ কোটি ৮৮ বছর বা তার কম ও
বেশী মর্মে যতগুলি বর্ণনা বিভিন্ন
তাফসীর গ্রন্থে দেখতে পাওয়া যায়,
সবগুলিই হয় ‘বানোয়াট’ অথবা ‘অত্যন্ত দুর্বল’
সূত্রে বর্ণিত (দ্রঃ তাফসীরুল কুরআন, ৩০
তম পারা ৫৭ পৃঃ) ।

টেলিফোনে স্বামী স্ত্রীর মাঝে যৌনালাপ

প্রশ্ন – টেলিফোনে স্বামী-স্ত্রীর
যৌনালাপে লিপ্ত
হওয়া এবং একে অন্যকে উত্তেজিত করা,
যাতে তাদের একজনের অথবা উভয়ের
বীর্যপাত ঘটে ( হাত ব্যবহার না করেই;
কেননা হাত ব্যবহার করা হারাম) – এরূপ
করা কি বৈধ হবে? বিশেষ করে আমার
স্বামী প্রায়শঃ সফরে থাকেন,
ফলে প্রতি চার মাস পর-পর আমাদের
দেখা-সাক্ষাৎ হয়।
উত্তর –
আলহামদুলিল্লাহ
এ-ধরনের প্রশ্ন শায়খ সালেহ আল উসাইমীন
রা. কে করা হয়েছিল।
তিনি উত্তরে বলেছিলেন:
এতে কোনো ক্ষতি নেই, বরং এরূপ
করা জায়েয।
প্রশ্ন: যদি হাত ব্যবহার করা হয়?
উত্তর : হাত ব্যবহারের বিষয়টি প্রশ্নাতীত
নয়। হাত ব্যবহার শুধু তখন জায়েয যখন
ব্যক্তি যিনা-ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার
প্রবল আশঙ্কা করবে।
প্রশ্ন: তাহলে হাত ব্যবহার
না করে হলে কোনো অসুবিধা নেই?
উত্তর: হ্যাঁ। হাত ব্যবহার
না করে হলে কোনো অসুবিধা নেই। পুরুষ
যদি কল্পনা করে, সে তার স্ত্রীর
সাথে আছে, তাতে কোনো সমস্যা নেই।
তবে স্বামী-স্ত্রী উভয়কেই সতর্ক
হতে হবে যেন তাদের আলাপচারিতা অন্য
কেউ শুনতে না পারে। কেউ কান
পেতে আছে কি-না সে ব্যাপারেও
তাকে সতর্ক হতে হবে।
মুফতী: শায়খ মুহাম্মাদ সালেহ আল
উসাইমীন

আল্লাহর জিকির, কুরআন এবং রাসূল সম্পর্কিত কোন বিষয় নিয়ে খেল- তামাশা করা

আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেছেন,
“আপনি যদি তাদেরকে জিজ্ঞেস
করেন, তবে তারা অবশ্যই বলবে,
আমরা খেল-
তামাশা করছিলাম৷” (ফুসসিলাত . ৫০)
ইবনে ওমর, মুহাম্মদ বিন কা’ব, যায়েদ বিন
আসলাম এবং কাতাদাহ রা. থেকে বর্ণিত
আছে, [তাদের একের কথা অপরের কথার
মধ্যে সামঞ্জস্য আছে] তাবুক যুদ্ধে একজন
লোক বলল, এ কারীদের [কুরআন পাঠকারীর]
মত এত অধিক পেটুক, কথায় এত অধিক
মিথ্যুক এবং যুদ্ধের ময়দানে শত্রুর
সাক্ষাতে এত অধিক ভীরু আর কোন লোক
দেখিনি৷ অর্থাৎ লোকটি তার
কথা দ্বারা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম; এবং তাঁর
সাহায্যকারী সাহাবায়ে কেরামের
দিকে ইঙ্গিত করেছিলো৷ আওফ বিন
মালেক লোকটিকে বললেন,
‘তুমি মিথ্যা কথা বলেছ৷ কারণ,
তুমি মুনাফেক৷’ আমি অবশ্যই রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এ
খবর জানাবো৷ আওফ তখন এ খবর জানানোর
জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর
কাছে চলে গেলেন৷ গিয়ে দেখলেন কুরআন
তাঁর চেয়েও অগ্রগামী [অর্থাত্ আওফ
পৌঁছার পূর্বেই ওহির মাধ্যমে রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
ব্যাপারটি জেনে ফেলেছেন] এ
ফাঁকে মুনাফেক লোকটি তার
উটে চড়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর
কাছে চলে আসল৷ তারপর সে বলল,
‘হে আল্লাহর রাসূল, চলার
পথে আমরা অন্যান্য পথচারীদের মত
পরস্পরের হাসি, রং- তামাশা করছিলাম’
যাতে করে আমাদের পথ চলার কষ্ট লাঘব
হয়৷ ইবনে ওমর রা. বলেন, এর উটের গদির
রশির সাথে লেগে আমি যেন তার
দিকে তাকিয়ে দেখছিলাম৷ পাথর তার
পায়ের উপর পড়ছিল, আর সে বলছিল,
‘আমরা হাসি ঠাট্টা করছিলাম৷’ তখন রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
তাকে উদ্দেশ্য করে বললেন,
“তোমরা কি আল্লাহ; , তাঁর আয়াত [কুরআন]
এবং তাঁর রাসূলের সাথে ঠাট্টা-বিদ্রূপ
করছিলে?
ব্যাখ্যা
আল্লাহর জিকির, কুরআন ও রাসূল সম্পর্কিত
বিষয়ে যে ব্যক্তি হাসি-তামাশা করে
তার পরিণাম হচ্ছে এই যে, তার এ
কাজটি সম্পূর্ণরূপে ঈমানের পরিপন্থী৷ এ
কাজ
মানুষকে ইসলামের গণ্ডি থেকে বের
করে দেয়৷ কারণ, দ্বীনের মূল বিষয় হচ্ছে,
আল্লাহ
তাআলার তাঁর যাবতীয়
ঐশী গ্রন্থাবলি এবং রাসূলগণের
প্রতি ঈমান আনয়ন করা্ [তাই
এ মূল বিষয় নিয়ে তামাশা করার নামই
কুফরি]
এসব বিষয়গুলোর প্রতি সম্মান প্রদর্শন
ঈমানের অন্তর্ভুক্ত৷ আর
এগুলো নিয়ে ঠাট্টা
বিদ্রূপ
করা এবং হাসি তামাশা করা কুফরি করার
চেয়েও জঘন্য৷ এ কথাগুলো জানা
থাকা আমাদের জন্য অতীব প্রয়োজন৷ এ
রকম করা নিঃসন্দেহে কুফরি কাজ৷ তদুপরি
এতে রয়েছে মানুষকে হেয়
প্রতিপন্নকরা এবং অবজ্ঞা প্রদর্শন করার
মানসিকতা৷
কাফের দু ধরনের .
এক . (মু’ রিদূন) যারা আল্লাহ; ও
রাসূলকে অস্বীকার করে৷
দুই . [মুআ’রিদুন] যারা আল্লাহএবং তাঁর
রাসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে৷
আল্লাহ, তাঁর দীন এবং তাঁর রাসূলের দোষ
ও দুর্নাম গায়৷ এরা জঘন্য রকমের
কুফরি করে, চরম অশান্তির সৃষ্টি করে৷
যারা আল্লাহ, রাসূল এবং কুরআন
নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রূপ
এবং রং তামাশা করে তারাও এর
শ্রেণিভুক্ত৷ তিনি সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার
দিকে [মুনাফেকের দিকে] দৃষ্টিও দেননি৷
এর অতিরিক্ত কোন কথাও বলেননি৷
এ অধ্যায় থেকে নিম্নোক্ত
বিষয়গুলো জানা যায় :
১৷ এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
হচ্ছে একথা অনুধাবন করা যে,
আল্লাহ, কুরআন ও রাসূলের
সাথে যারা ঠাট্টা বিদ্রূপ
করে তারা কাফের৷
২৷ এ ঘটনা সংশ্লিষ্ট; আয়াতের
তাফসীর ঐ ব্যক্তির জন্য যে, এ
ধরনের কাজ করে অর্থাত্ আল্লাহ; ,
কুরআন ও রাসূলের সাথে ঠাট্টা-
বিদ্রূপ করে৷
৩৷ চোগলখুরী এবং আল্লাহ; ও তাঁর
রাসূলের উদ্দেশ্যে নসিহতের
মধ্যে পার্থক্য৷
৪৷ এমন ওজরও রয়েছে যা গ্রহণ
করা উচিত নয়৷